,

নবীগঞ্জে বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্ট এলাকার শত শত পরিবার পানিবন্ধি

এম. এ আহমদ আজাদ ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্ট-১ এবং বিবিয়ানা প্লান্ট-২ এলাকার পাহাড়পুর ও ভূমিহীন পাড়ার শত শত পরিবার পানিবন্ধি অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়ে মানবেতর জীবন করছেন। প্লান্টের পানিতে গ্রামের বাড়িঘর প্লাবিত করে কাদায় ভরপুর হয়ে গেছে। রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেছে চলাচলের অনুপযোগি রাস্তা মেরামতের দাবিতে গতকাল বৃস্পতিবার গ্রামবাসী পাহাড়পুর গ্রামের আশিক মিয়ার বাড়িতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রদিবাদ সভায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার সুজন মিয়ার সভাপতিত্বে ও আশিক মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা কাওসার আহমদ কয়সর, পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, কলেজ শিক্ষক মোঃ আশরাফ আলী, আনহার মিয়া, ভূমিহীন নেতা সুজন মিয়া মোঃ আছাব আলী, জিলু মিয়া, মোবাশ্বির আলী, হাজী রফিক মিয়া, শমছু মিয়া, এহছান উদ্দিন , আইনুল্লাহ, মন্নান মিয়া, মুতালিব, আব্দুল করিম, সাজ্জাদ হুসেন, হেলাল আহমদ প্রমুখ। এ খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উত্তেজিত গ্রামবাসীকে শান্তনা দেন এবং তাদের সাথে মত বিনিময় করেন। এ সময় গ্রামবাসী উপজেলা চেয়ারম্যানকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল, পাহাড়পুর ও বনগাও মধ্যেবতী স্থানে বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদ্যুত পাওয়ার প্লান্ট ৯৫০ ঘনফুট মেঘাওয়াট এর কাজ চলছে প্রায় তিন বছর ধরে। প্রায় ৪০ একর ভূমিতে বিদ্যূৎ পাওয়ার প্লান্ট-১ ও ২ নির্মান কাজ চলছে। গত বছর পাওয়ার প্লান্ট-২ তে সামিট পাওয়ার বিবিয়ানা ২৬ একর ভূমিতে ভরাট কাজ করে। এতে ওই ২৬ একরের পানি নিস্কাশনের কোন সঠিক রাস্তা না থাকায় পাহাড় পুর গ্রামের দিকে পানি প্রবাহিত হয়ে গ্রামের শত শত পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়ে। চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় ঐ এলাকাবাসীকে। সরকারী ও বেসরকারী ভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ সহ দীর্ঘদিন ধরে ধর্ণা দিলেও এতে টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। বৃষ্টি আসামাত্রই পাওয়ার প্লান্টের পানিতে পুরো গ্রাম ও ভূমিহীন পাড়া রাস্তাঘাট সহ প্লাবিত হয়ে যায়। এতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বিদ্যূত পাওয়ার প্লান্ট এলাকাবাসীকে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীরা যাতায়াত করছে অনেক কষ্ট স্বীকার করে। ক্ষতি হচ্ছে গ্রামের ঘর/বাড়ী/গাছ/পালাসহ বিভিন্ন ফসলাধি। গত দুবছর ধরে এ নিয়ে একের পর এক আন্দোলন প্রতিবাদ সভা সহ একাধিক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। এনিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্থ এলাবাসীর ভাগ্যের উন্নয়নে এগিয়ে আসেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ হতাশা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে সামিট পাওয়ার প্লান্ট বিবিয়ানা -২ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার জহির আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


     এই বিভাগের আরো খবর